রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ নয় দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে ‘নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক ঐক্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’র ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- দায়িত্ব অবহেলার কারণে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন, ক্যাম্পাসে কোন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হলে মামলাসহ সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করা, আবাসিক হলগুলো সিসিটিভির আওতায় আনা, হলগুলোতে বৈধ সিট বণ্টন করা এবং হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হলে সিট বণ্টন ও আবাসনে কোন ছাত্র সংগঠনের হস্তক্ষেপের সুযোগ না দেয়া, হলে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বের করে দেয়া, রাজনৈতিক মত ভিন্নতার কারণে কোন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারির সাথে অসদাচরণ না করা এবং তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে দাবি মেনে নেওয়ার যে আশ্বাস দিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন তারা জানে কারা এসব অপকর্ম করতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপকরণ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময় তাদেরকে মারধর ও হত্যা করছে ছাত্র নামের সন্ত্রাসীরা। কিন্তু তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারে না। আপনারা নিপীড়নের শিকার ব্যক্তির অভিশাপকে ভয় করুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলো ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর জিম্মাদার। আপনারা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে এসব ঘটনা দূর করা সম্ভব।আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নামধারী সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। এসব সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। নয়তো তারা আরও হিংস্র হয়ে উঠবে।
আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার ও অধ্যাপক সৈয়দা আফরীনা মামুন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমেদ ইমতিয়াজ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আখতার বানু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে শহীদ শামসুজ্জোহা হলে সোহরাব হোসেনকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় দুই শিক্ষার্থী। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই দুজনকে সাময়িক বহিস্কার করেছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মতিহার বার্তা ডট কম – ১৭ নভেম্বর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.